কালচে সবুজ গাছে শোভা বিস্তার করে থাকে শ্বেতশুভ্র পাঁচ পাঁপড়ির সাদা জবা। ফুলের পাপড়ির সংখ্যা ৫টি। পাপড়িগুলো উপরের দিক একে অপরের সঙ্গে স্পর্শাকারে জড়িত এবং তলদেশের সঙ্গে সংযুক্ত। শ্বেত জবা ফুলের লম্বা বৃন্ত থাকে। বৃন্তের শেষ মাথায় ফুলের পাঁচটি উপবৃতি আছে। উপবৃতির উপরে আছে ৫টি হালকা হলুদ রঙের বৃতি। এই বৃতিগুলো নলাকারে থাকে। এরপরে রয়েছে মূল ফুল।
শ্বেত জবা বরাবরই আমাদের অগোচরে থেকে যায়। ফুলপ্রেমিরা বাড়ির ছাদের টবে এ ফুল ফুটিয়ে থাকেন। মাঝারি আকারের ফুলটি কোমল হৃদয়কে আরও সতেজ করে তোলে। কাটিং কিংবা গুটি কলম করে এ গাছের বিস্তার ঘটানো সম্ভব। ৩০-৪০ মিটার মাটি ভর্তি টব হলেই চলে।
এ উদ্ভিদের নানা বর্ণের ফুল দেখা যায়। রক্ত জবা, শ্বেত জবা, হলুদ জবা, গোলাপি জবা প্রভৃতি। গোটা বাংলাদেশে এর চাষ হয়। সারা বছরই ফুল ফোটে। বহু শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট এ গাছের উচ্চতা ১ থেকে ৪ মিটার। শ্বেত জবা প্রায় ৪ থেকে ৬ মিটার লম্বা হয়। পাতার দৈর্ঘ্য ১০ সেন্টিমিটার এবং প্রস্থ ৬ সেন্টিমিটার। জবা পাতার প্রান্তভাগ খাঁজকাটা, গা মসৃণ। পাতাগুলো ডালে একান্তরভাবে সজ্জিত থাকে।
জবা ফুলের ঔষধিগুণ একাধিক। এই ফুলের কুঁড়ির রস জ্বরনাশক। জবা ফুলের রস থেকে তৈরি করা জবাকুসুম তেল অত্যন্ত উপকারী। এ তেল ব্যবহারে চুলপড়া বন্ধ হয় ও চুল ঘনকালো হয়।
এছাড়াও মহিলাদের ঋতুবিলম্বিত সমস্যায় এ ফুল পিষে সেবন করলে সুফল পাওয়া যায়। জবা ফুলের কুঁড়ি পুরুষের ধাতু দুর্বলতা দূর করে বলে কবিরাজরা একে অব্যর্থ ওষুধ হিসেবে গণ্য করে থাকেন।