সাদা রঙ্গন ফুলের আরেক নাম রুক্মিণী। উদ্ভিদবিদ্যায় নাম Ixora.বৈজ্ঞানিক নাম Ixora perviflora। আমাদের দেশে এ ফুলটি সাদারঙ্গন, শ্বেতরঙ্গন, সুরভীরঙ্গন, সুগন্ধী রঙ্গন, গন্ধাল রঙ্গন নামে পরিচিত। সুগন্ধ আর সৌরভে ভরা এ রঙ্গনের আদি নিবাস সিঙ্গাপুর। সাদা রঙের রঙ্গন কমই চোখে পড়ে। মিষ্টি সুগন্ধ বা সৌরভ পেতে হলে আপনাকে খোঁজতে হবে সাদা রঙ্গন। যা অন্য কোনো রঙ্গনে খুঁজে পাবেন না।
ফুটন্ত রঙ্গন ফুল দীর্ঘদিন ধরে শোভা বর্ধন করে। রঙ্গন গাছে সাধারণত গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে থোকা থোকা ফুল ফোটে। কিন্তু কোন কোন জাতের রঙ্গন বসন্তেও ফোটে। অন্যান্য ঋতুতে সে তুলনায় কম ফোটে।
প্রায় প্রতি শাখার অগ্রভাগে থোকা থোকা ফুল ফোটে, থোকায় থাকে অসংখ্য পুষ্প মঞ্জুরি। রঙ্গন গাছে ফুল ফোটার আগে অসংখ্য ঊর্ধ্বমুখী মঞ্জুরি দেখতে পাওয়া যায়। মঞ্জুরি ধীরে ধীরে প্রস্ফুটিত হয়ে তারকা খচিত থোকা ফুলে পরিণত হয়। ফুটন্ত রঙ্গন ফুলের সৌন্দর্য অনেক দিন স্থায়ী থাকে। লাল রঙের মঞ্জুরির মধ্যে হঠাৎ কিছু কিছু সোনালি বা ঘিয়ে রঙের মঞ্জুরির মিশ্রণ লক্ষ্যণীয়। প্রতি মঞ্জুরিতে পাপড়ি সংখ্যা চারটি।
রঙ্গন গাছের কান্ড ও শাখা প্রশাখা বেশ শক্ত। প্রায় সব ধরনের মাটিতে রঙ্গন ফুল গাছ জন্মে। রঙ্গন খুব কষ্টসহিষ্ণু গাছ। এ গাছের পরিচর্যা তেমন লাগে না। পানিও তুলনামুলক অনেক কম লাগে। যারা ছাদ বাগান করেন তারাও ছাদে দুই একটা রঙ্গন গাছের টব রাখতে পারেন। এতে ছাদের সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি পায়। এর চাষ পদ্ধতিও সহজ। ফুল ফোটা শেষ হয়ে গেলে রঙ্গন গাছ ছেটে দেওয়া ভালো।
রঙ্গনের ফল থেকেও চারা জন্মানো যায়। আবার পরিণত গাছের ডাল নিচ থেকে কেটে মাটিতে রোপণ করে নিয়মিত পানি দিয়ে পরিচর্যা করলে কয়েকদিন পরই মূল গজায়। জোড়া কলম করেও রঙ্গনের বংশবিস্তার করা যায়। বাগানে কিংবা টবে এর চাষাবাদ করা যায়।
অন্যান্য নাম- Ixora, Rugmini रुग्मिनी (Hindi), Vedchi (Tamil), Flame of the Woods, Jungle Flame, Jungle Geranium, Chethi (Malayalam)