অরেঞ্জ মার্মালেড ফুল স্নিগ্ধ সুন্দর চিরহরিৎ গ্রীষ্মমন্ডলীয় উদ্ভিদ যা ফায়ারক্র্যাকার ফ্লাওয়ার নামেও পরিচিত। রারোমাস ফুল দিয়ে বাগান আলোকিত করে রাখে। প্রিয়দর্শিনী, ক্রসেন্দ্রা ফুল, Crossandra, Fire Cracker Flower সহ ভিন্ন নামেই পরিচিত। গড় আকার: ১৮ থেকে ২৪ ইঞ্চি লম্বা এবং বিস্তৃত হয়।
বিদেশি প্রজাতির এই গাছটি আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয়। সিংগেল, ডাবল পাপড়ির মার্মালেডের দেখা মেলে আমাদের দেশে! অরেঞ্জ মার্মালেড অ্যাকান্থেসিয়া পরিবারভুক্ত এর বৈজ্ঞানিক নাম ক্রসেন্দ্রা ইনফান্ডিবুলিফর্মিস।
অরেঞ্জ মার্মালেড ফুল গাছের মাটি তৈরী ও যত্ন আত্তি
সঠিক যত্ন নিলে শীতের অল্প সময় ছাড়া সারা বছর কম বেশি ফুল থাকবেই গাছে। অন্তত বারো ইঞ্চি টবে শুকনো পঁচা গোবর বা ভার্মি কম্পোস্ট ৩০-৪০% , বেলে দো আঁশ মাটি ৫০-৫৫% আর সামান্য হাড়ের গুড়া, ছাই, মোটা বালু মিশিয়ে গাছ টা লাগাতে হিয়।টবে যেন পানি না জমে তাই নিচে ছিদ্র রাখতে হয় ও ছিদ্রতে একটা বড় ইটের খোয়া/ পোড়ামাটির খন্ড দিতে হয় ছিদ্রের সাইজের।
প্রথম সাত থেকে দশ দিন ছায়ায় রাখার পর ছাদেও রাখা যাবে। এরা রোদ পছন্দ করে।মাটি শুকালে পানি দেওয়া লাগে। কয়েক মাস পর পর কয়েক দানা DAP সার টবের একদম পেরিফেরিতে ছিটিয়ে দিতে হয়।আর কোন যত্ন লাগবেনা।
কীটনাশকঃ
এই গাছের পাতা গুলো খুবই নরম।তাই পোকা খুব সহজে এর পাতা খেয়ে ফেলে।এ জন্য মাসে দুই বার জৈব/রাসায়নিক যে কোন উপায়ে গাছের পোকা দমন করবেন। মাসে একবার ঘরে/ বাজারে পাওয়া যে কোন ছত্রাক নাশক স্প্রে করবেন!
বংশবৃদ্ধিঃ
বীজ ও কাটিং থেকে গাছটি বংশবৃদ্ধি করে।
ঔষধি ব্যবহার :
মাথাব্যথা, জ্বর এবং ত্বকের ব্যাধির মতো বিভিন্ন অসুস্থতা নিরাময়ের জন্য বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা ব্যবস্থায় অরেঞ্জ মার্মালেড উদ্ভিদ ব্যবহার করা হয়েছে। আরও গবেষণা প্রয়োজন কারণ এই ব্যবহারগুলিকে সমর্থন করার জন্য যথেষ্ট বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।