বনফুল, গায়ে বুনো গন্ধ কিন্তু রুপের জুড়ি নেই। হলুদ গোলাপি-শাদা-লাল নানা রঙের মিশ্রণ আছে এর। ল্যান্টানা বা পুটুস বা ছত্রা হলো ভারবেনা বা ভারবেনাস পরিবারভুক্ত একটি ফুলের প্রজাতি। এর উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম Lantana camara এবং এর আদি নিবাস ক্রান্তীয় আমেরিকা। বর্তানে এশিয়ার বাংলাদেশ ও ভারতসহ সর্বত্রই পাওয়া যায়।
ফোটার পর ক্রমে রঙ বদলায় আবার ঝোপ থেকে ঝোপে রঙের পার্থক্যও দেখা যায়। সময়ের সাথে সাথে রঙ রূপ বদলে ফেলা এই ফুলটি ঝোপ আলো করে লণ্ঠনের মত আলো ছড়ায় বলেই হয়ত এই নাম। বাংলাদেশে এটি অপ্রয়োজনীয় ঝোপ হিসেবেই পরিচিত।
মোটামুটি সব জায়গায় কম বেশি দেখা যায় এই ঝোপ। সবচেয়ে চমৎকার লাগে এই ফুলের রঙ। নতুন ফুলের এক রঙ একটু পুরানো ফুলের আরেক রঙ। একই থোকায় কয়েক রঙ। সাধারণত হলুদ, লাল, কমলা, বেগুনি, মেজেন্টা ইত্যাদি রঙের এই ফুল দেখা যায়।
নাম:- ল্যান্টানা/ লণ্ঠন, পুটুস।
- ইংরেজি নাম Sage.
- বিভিন্ন রংয়ের হয়ে থাকে।
- শীতপ্রধান দেশে যত্রতত্র দেখা যায়।
- আমাদের দেশে সৌখিন ফুলপ্রেমিদের বাগানে ও ঝোপ জঙ্গলে দেখা মেলে।
- তাম্রপাতা বা ইংরেজিতে Copper leaf বা ব্লাক ফ্লামিনগো।
- বৈজ্ঞানিক নাম Chrysothemis Pulchrlla.
উদ্ভিদটির আদিবাস আমেরিকায় হলেও এখন সারা দুনিয়ায় ছড়িয়েছে। সে কষ্টসহিষ্ণু, খরা-তাপ সহ্য করে দিব্যি টিকে থাকে ও বিস্তৃত হয়।
ভেষজ গুণ
চর্মরোগ ও জ্বর নিরাময়ে এটি ব্যবহৃত হয়।
এর ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ পাকলে গাঢ় বেগুনি রঙের হয়। পাখিরা পাকা ফল খায়। বাগানের সৌখিন ফুল হিসেবে লান্টানা বেশ জনপ্রিয়। সারাবছরই ফোটে এ ফুল, তবে বর্ষায় বেশি দেখা যায়।
এটি প্রজাপতি বান্ধব গাছ। বাগানের সৌখিন ফুল হিসেবে ল্যান্টানা মানায় ভালো। গাছে প্রায় সারাবছর ফুট ফুটলেও শীতের শুরুতে এবং পুরো শীত জুড়ে বেশি দেখা যায় ফুলের বাহার। আর পাকা বা শুকনো বীজ সংগ্রহ করে একে বাগানের সদস্য করে নেওয়া যায় খুব সহজেই। বাগানের সুন্দর সেই ফুল থেকেই ছন্দময় হয়ে ওঠে ভোরের আকাশ, জেনে নেয়া যায় তার সুন্দর হয়ে ওঠার গোপন রহস্য!
আমার বাগানে দুই রঙের ল্যান্টানা আছে, হলুদ আর লাল। সারা বছরই বাগান আলো করে রাখে। বাগানে কোন ফুল না থাকলেও ল্যান্টানা জ্বলে থাকে দূর দিগন্তের ওই তারগুলোর মত!!