তারাঝরা বা বুদ্ধ জুঁই বলতে আমরা অ্যারোমেটিক জুঁই (Aromatic jui) এরোমেটিক জুঁই, গাছটিকে চিনি। বৈজ্ঞানিক নাম Clematis flammula. যা Ranunculaceae পরিবারের অন্তর্গত। বুদ্ধ জুঁই বা অ্যারোমেটিক জুঁই সুগন্ধি ছোট সাদা ফুল ও তার ঘ্রাণের জন্য সারাবিশ্বে পরিচিত।
এরোমেটিক জুঁই লতান প্রকৃতির বা আরোহী জাতীয় উদ্ভিদ। অবলম্বন পেলে তা বেয়ে বেড়ে উঠে। গাছ ভরে ছোট সাদা সাদা সুগন্ধি ফুল ফোঁটে। মজার বিষয় এই ফুলে পাপড়ির মতো দেখতে অংশগুলো ফুলের বৃতি বলা হয়, আসলে সেগুলি ফুলের কোনো পাপড়ি নয়। ফুলের মাঝখানের হালকা সবুজ আভাযুক্ত অংশ থেকে বের হয় অসংখ্য সাদা রঙের পুংকেশর।
আদিনিবাস ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চল ও আফ্রিকার উত্তরাঞ্চল।অ্যারোমেটিক জুঁই ফুলের নামের সাথে জুঁই অংশ থাকলেও বাস্তবে আসল জুঁই/যুথিকার সাথে এর কোনো মিল নেই।আমাদের দেশে নার্সারী ব্যবসার সাথে যারা জড়িত তারাই এই ফুলের নাম দিয়েছে অ্যারোমেটিক জুঁই। এই নামটাই এখন সবার কাছে পরিচিত হয়ে গিয়েছে।
Aromatic Jui (এ্যারোমাটিক জুঁই) মন মাতানো ঘ্রান । সারা বছর বাগানো ঘ্রান ছড়াতে এই ফুলের তুলনা হয়না ।
গাছের যত্ন ও পরিচর্যা:
এই গাছের নরম ও বর্ধনশীল কান্ড ও শাখাতে কুঁড়ি আসে। এই কারণে দ্রুত বর্ধনশীল এইসব গাছে যথেষ্ট সারের প্রয়োজন হয় । গাছ ছাঁটাইয়ের পর পর জানুয়ারি মাসে একবার ও বর্ষার শুরুতে জুলাই মাসে আরও একবার সার দেয়ার দরকার পড়ে । এটি লতানো ও বহুবর্ষজীবি গাছ । টবে গাছ লাগানো হলে মাটিতে ৪০ ভাগ জৈব পদার্থ যেমন গোবর , পাতা পচা সার বা কেঁচো কম্পোস্ট সার ব্যবহার করে মাটি তৈরি করতে হবে। এছাড়া রাসায়নিক সার খুব কম পরিমাণে বা ব্যবহার না করাই ভালো। ১০-১২” টবে লাগানো যাবে । বাড়ির গেটের সামনে রাখা যাবে । টানা ৮-৯ মাস ফুল হয় এবং শীতে গাছটি বিশ্রাম করে ।
বংশবিস্তার:
এরোমেটিক গাছের চারা তৈরী করা হয় বা বংশবিস্তার ঘটানো হয় কাটিং পদ্ধতির মাধ্যমে এবং বীজ থেকে। কাটিং থেকে চারা তৈরীর আদর্শ সময় জুলাই থেকে আগষ্ট এবং ফেব্রুয়ারী থেকে মার্চ।