মোরগ ঝুটি ফুল ইংরেজি নাম- Amarantaceae, উদ্ভিদ তাত্বিক নাম- Celosia argentea। মোরগের মাথার ঝুটির আকৃতির কারনে এর নাম মোরগ ফুল। তবে অঞ্চল ভেদে কোথাও কোথাও এ ফুলকে মোরগ ঝুটি, লালমুর্গা নামেও ডাকা হয়। গাছ উচ্চতায় ৪-৭ ফুট পর্যমত্ম উঁচু হয়, গাছের কান্ড হতে শাখা-প্রশাখা বের হয়, শাখা-প্রশাখা ও কান্ড নরম।
প্রাপ্ত তথ্য মতে জানা যায়, এশিয়ার নিরক্ষয় অঞ্চল এবং আফ্রিকা আদি নিবাস হলেও বাংলাদেশে মোরগ ফুল একটি জনপ্রিয় ফুল। গাছ সাধারণত ৩০-৯০ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। বাগানে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগানো হয়ে থাকে।
নানা প্রজাতির মোরগফুল রয়েছে। প্রজাতি ভেদে গাছের পাতা, শাখা-প্রশাখা, কান্ড ও ফুলের রঙ ভিন্ন হয়। লাল, কমলা, হলুদ, সাদা, সোনালি ও মিশ্র রঙের মোরগফুল দেখতে পাওয়া যায়। ফুল গন্ধহীন, উজ্বল রঙের মোলায়েম পালকের মতো। গাছ থেকে ফুল সংগ্রহ করে রেখে দেয়ার পর ফুল শুকিয়ে গেলেও এর উজ্বলতা নষ্ট হয় না। ফুল শেষে পরিপক্ক ফুলের মাঝে বীজ হয়, বীজ ডাটা বীজের মতো। পরবর্তী মৌসুমে বংশ বিস্তারের জন্য বীজ সংরক্ষণ করে বীজের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করা যায়।
মোরগফুল মূলত হেমন্ত মৌসুমের ফুল। এর আগেও ফুটে এই ফুল। তবে সাধারণত মে মাসে বীজবপন করার পর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে গাছে ফুল ধরে এবং ফুল ফুটন্ত গাছ মার্চ মাস সময় পর্যন্ত টিকে থাকে, তারপর ফুলগাছ আপনা আপনি মরে যায়।
রৌদ্র উজ্জ্বল পরিবেশ, নিষ্কাসিত ও প্রায় সব ধরনের মাটিতে এ ফুল গাছ জন্মে। বাসা-বাড়ি, অফিস, আদালত, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, পার্ক ও অন্যান্য স্থানে এ ফুল গাছ চোখে পড়ে।
মোরগ ফুলের ভেষজ গুনাগুণ:-
অতিরিক্ত প্রস্রাব উপশমে এবং আমাশয় রোগের চিকিৎসায় মোরগ ফুল ব্যবহার হয়ে থাকে।