বৃক্ষ

মধুমঞ্জরী লতা, মধুমালতী ফুল গাছের বেড়ে ওঠা

মধুমঞ্জরী লতা, মধুমালতী ফুল

মধু মঞ্জরী  Combretaceae পরিবারের  অন্তর্ভুক্ত বহুবর্ষজীবী লতানো গাছ। ইংরেজিতে এর নাম  Chinese honeysuckle বা Rangoon creeper. বৈজ্ঞানিক নাম : Quisqualis indica. অন্যান্য নাম- রঙ্গন কাবেল, রেঙ্গুন ক্রিপার।

মধুমঞ্জরীর আদি নিবাস মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া। ফিলিপাইন, ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এই সব ক্রান্তীয় অঞ্চলে এই গাছ ভালো জন্মে।  কেউ কেউ মনে করেন, এটি মালয় দেশের গাছ এবং সেখান থেকে ভারত বা বাংলাদেশে এনে লাগানো হয়েছে। তবে মধুমঞ্জরী আমাদের দেশে বাগান সজ্জায় এমন ভাবে জড়িয়ে গেছে যে তাকে আর ভিনদেশি ভাবার উপায় নেই।

মধুমঞ্জরী লতা

এই ফুলের নাম নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি। এই ফুল একেক জনের কাছে একেক নামে পরিচিত। সবচেয়ে প্রচলিত ভুলটি হচ্ছে আমরা একে মাধবীলতা নামে ডাকি। আসলে এর কোনো বাংলা নাম ছিলো না। শেষ পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ মধুমঞ্জরী লতা নাম দিয়ে গাছটিকে আপন করে নিলেন।
“স্মরণচিহ্ন কত যাবে উন্মুলে মোর দেয়া নাম লেখা থাক ওর ফুলে মধুমঞ্জরীলতা”
মধুমালতী ফুল
কাষ্ঠলতা, পত্রমোচী। বাড়ির ফটক বা ঘরের উপর বেশ জাকিয়ে বসে। শীতে পাতা কমে যায়। সাদা ও লাল থোকা থোকা ফুল। পাপড়ির নলটি বেশ লম্বা। বছরে কয়েক দফা ফুল ফোটে। ঘন সবুজ পাতার মাঝখানে ঝুলন্ত সাদা-লাল ফুল সহজেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সন্ধ্যায় নতুন ফুল ফোটে আর হালকা সুবাস ছড়ায়।

মধুমঞ্জরী লতা, মধুমালতী, মাধুরীলতা

Original price was: ৳ 300.00.Current price is: ৳ 250.00.
মধুমঞ্জরীর লতা খুব শক্ত , ধূসর রঙের, কয়েক বছর হয়ে গেলে মোটা হয়ে মোচড়ানো, দড়ির মতো হয়। খসখসে সবুজ রঙের পাতাগুলি  বিপরীত দিকে সাজানো থাকে। পাতা আয়তকার, ডিম্বাকৃতি ও অগ্রভাগ সরু; পাতার কিনারা কখনো হালকা ঢেউ খেলানো এবং একটু খসখসে।   মধুমঞ্জরী  ফুল থোকায় থোকায় ফোটে,  ফুলের রঙ সাদা থেকে ধীরে ধীরে বদল হয়ে  গোলাপি  ও শেষে লাল হয় । ফুলের  পাপড়ি ৫ টি। ফুলে  মৃদু সুগন্ধ আছে । বিচিত্র  রঙের জন্য এই ফুল প্রজাপতি আর  মৌমাছিদের খুব প্রিয় ।

মধুমঞ্জরি লতা

বাড়ির ফটক বা ঘরের উপর বেশ ঘনভাবে ছড়িয়ে যায়। প্রায় ৭০ ফুট পর্যন্ত বেয়ে উঠতে পারে। উদ্ভিদটি কাষ্ঠল, পত্রমোচী, আরোহী উদ্ভিদ। লতা খুব শক্ত, কয়েক বছর হয়ে গেলে মোটা হয়। তখন হয় মোচড়ানো, ধূসর রঙের। গর্ভকাষ্ঠ বা মাঝখানে ছিদ্র হয়।

পাতা একক, অখণ্ড, আয়তাকার-ভল্লাকার ও আগা সরু; কিনারা হালকা ঢেউ খেলানো এবং একটু খসখসে।, ৬-৯ সেমি লম্বা, বিন্যাস বিপ্রতীপ। শীতে পাতা কমে যায়।

মধুমঞ্জরী লতা

ঘন সবুজ পাতার মাঝখানে ঝুলন্ত মধুমঞ্জরীর সাদা-গোলাপী-লাল ফুল সহজেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ডালের আগায় সন্ধ্যায় বড় বড় ঝুলন্ত থোকায় ফুল ফোটে আর হালকা সুবাস ছড়ায়। তাজা ও বাসি ফুলে রঙের ভিন্নতাও এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তাজা ফুলের রঙ সাদা ক্রমশ তা গোলাপী থেকে লাল হয়ে শেষ পর্যন্ত মেরুন রঙে পরিণত হয়। বসন্ত, গ্রীষ্ম ও বর্ষায় প্রচুর ফুল ফোটে। যদিও সারা বছর কিছু দিন পরপর ফুল ফোটে। এজন্যে একে বারমাসী ফুল বলা হয়। দলনল প্রায় ৫ সেমি লম্বা, পাপড়ির সংখ্যা ৫, ফুলের বোঁটা লম্বা।

খুব ক্বচিৎ ফল হয়। ফল দেখতে অনেকটা কামরাঙ্গার মত, ৫ শিরা যুক্ত, লম্বায় ৫ সেমি। সাধারনত কাটিং করে বা গোড়া এবং শেকড় থেকে যে লতা গজায় তা কেটে মাটিতে পুঁতলেও চারা হয়।

মধুমঞ্জরী বারোমাসি ফুল গাছ, সারা বছর কিছু দিন পরপর ফুল ফোটে। বংশবৃদ্ধি মূলত অঙ্গজ। মধুমঞ্জরীর গোড়া এবং শেকড় থেকে নতুন গাছ গজায়। লতা কেটে মাটিতে পুঁতলেও চারা হয়। খুব ক্বচিৎ ফল হয়। মধুমঞ্জরী কষ্টসহিষ্ণু গাছ। সহজে মরে না। ইট কাঠের ঢাকা শহরে অনেক বহুতল ভবনের গা বেয়ে নিচে থেকে ছাদ পর্যন্ত  এই গাছ শোভা ছড়াতে দেখা যায়। কুঞ্জ তৈরির জন্যে  মধু মঞ্জরী আদর্শ গাছ।

মধুমালতী ফুল

মাধবীলতার ভেষজ গুণ

মধুমঞ্জরী শুধু আমাদের সৌন্দর্যই দেয় না অনেক রোগের থেকে মুক্তিও দেয়। মধুমঞ্জরীর বহুবিধ ভেষজ গুণও রয়েছে। এর পাতা চর্মরোগে ও মাথার যন্ত্রনার ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং পুরনো বাত ও হাঁপানীর উপশমে লাগে। বীজ কৃমি, ডায়ারিয়া ও জ্বর নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কান্ড সর্দি, কাশি এবং ঠান্ডা লাগায় ব্যবহার করা হয়।

বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস

Kingdom – Plantae
Subkingdom – Tracheobionta
Superdivision – Spermatophyta
Division – Magnoliophyta
Class – Magnoliopsida
Subclass – Rosidae
Order – Myrtales
Family – Combretaceae
Genus – Quisqualis
Species – Quisqualis indica

 

পছন্দ হলে অনলাইনে অর্ডার করতে পারেন।

মধুমঞ্জরী লতা, মধুমালতী, মাধুরীলতা

Original price was: ৳ 300.00.Current price is: ৳ 250.00.

অথবা ফোন করুন ০১৭৬৫৪৩৪৫১৫

author-avatar

About Mali o Malini

মালি ও মালিনী, ধরণী সাজাই গাছ দিয়ে , ফুলে ফলে সবুজে ভরে উঠুক পৃথিবী, এই প্রত্যয় আমাদের। তাই আমরা মালি The Gardener. Malini and Malini, let the world be filled with greenery with flowers and trees, this is our conviction. So we are gardeners

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *